জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০১৪

প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়

কালের ট্রোজানে 

সে সব ভুলের ভার অবতংসে রত্নসমাহার          
দেখা যায় বিচ্ছুরণ,আলো-রেখা ঘোরে অন্ধ হয়ে
আমার কানের মধ্যে অন্য আরো কিছু শ্রবণের
মহান যন্ত্রাংশ ভাসে,মেঘের আড়ালে অন্য চোখ
লক্ষ রাখে কারা শুধু বলি হতে চায়
যাত্রা শুরু হয়ে ছিল  চৈতন্যনগরোপান্তে মহাসমারোহে
সদ্য যুবক হাঁস উড়ে যেতে চেয়ে ছিল মহাকাশ চিরে
অলক্ষে ট্রোজান কেউ ছেড়ে দিয়ে ছিল সাদা মেঘের আড়ালে
তাদের-ই দখল আজ জনতা স্বীকৃত ।

এখানেই শেষ হলে ভালো হত লেখাটি আমার
নিয়তি অবাধ্য তাই জন্ম নিল আরেক কুমার
এসব কাহিনিগুলো দেখেছে কী , হয়েছে শরিক?
সাদার উপরে কালো ঢালো যত তত সে পথিক
নিরক্ষর অভিমান ‘অপমান’ শব্দ মেখে গা’য়   
প্রতীক্ষায় প্রতীক্ষায়  দিন-রাত-মাস কেটে যায়।




বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১২


প্র ণ ব কু মা র  চ ট্টো পা ধ্যা য়
ঘুঘু

বিলম্বিত শীত এসে বসেছে জাঁকিয়ে
স থেকে আলো-ধারা উত্তুরে হাওয়ায়
কাঁপা কাঁপা চলমান ছবি হয়ে গেল
কাগজ পুড়ছে কিছু এখানে-ওখানে
ঘিরে থাকা কিছু লোক উষ্ণতা পোহায়
ইঁট-কাঠ-বালি-লোহা-পাথর জমানো
গড়ে উঠছে হরদম বহু বহুতল
বিরল মাটির দেশে হঠা পুকুর
ডেকে উঠল ছলছলা ,কিছু কোঁচবক
মুখ কালো করে ফের জলে নেমে গেল
দেখা দিল গাংচিল,হলুদ শালিখ
বেনেবউ,মাছরাঙা,বগারি,চড়ুই
ঘুঘু উড়ে এল তার পতাকা নাড়িয়ে
কাঁপা কাঁপা চলমান ছবি মুছে গেল
ধোঁয়া জেগে থাকে শুধু , আলো মুছে গেলে
যা হওয়ার হয়;যা ঘটার ঘটে, বিজয়ের ঘোর আর
কাটতে চায় না ,৩২ সিংহাসন ঢিবির ভিতর।
সে উঠে বসে ।আলো পাল্টায় ট্রাফিক সিগন্যাল।
সবুজ গাছেরা যায় ।বাদামি মাছেরা যায় ।শুধু কালো
মানুষের দল,পাথরের চোখে স্থির তাকিয়ে থেকেছে।
কখন যে জ্বর আসবে,ঠকঠক কেঁপে উঠবে মা-জননী,
ওরা জানে ।শান্ত জলের মধ্যে কখন যে জেগে উঠবে
হাহাহুহু, জানে ওরা।কোথায় লুকিয়ে আছে মিঠে ধারা
এ জঙ্গলে;জানে তাও।এরকম বহু, যা অজানা সবার;
ওরা জানে ,শুধু,নিজেদের মুখ ওরা বদলাতে পারে না।
ন্যাংটো সে মাংসপিণ্ড ঢাকাহীন পড়ে থাকে পথের উপর
বরফে বরফে ঢাকা সাদা গাছ, সাদা বাড়ি, ও হ্রদের জল
বল্গা হরিণীর কাঁধে জুতে দেওয়া স্বপ্ন-গাড়ি তুষারে ধবল
অলৌকিক মনে হওয়া পথের সে মাংসপিণ্ডে দেখা দিল চোখ
দুরন্ত নীলের মধ্যে আগুন রঙের এক উজ্জ্বল গোলক
আলটপকা ছুঁয়ে দিয়ে দিগন্তে দাঁড়াল,সমস্ত রঙিন হল এক লহমায়।
উত্তুরে হাওয়ার সাথে দেখা গেল কিছু ঠোঁট চামচ আকার ।
কারো ঠোঁট সরু সূঁচ ,কারো মোটা ,কারো রোগা, কারোর বাঁকানো
হ্রদের জলেতে সর সাদা বরফের,তার মধ্যে সকলের আনন্দভুবন।
স্বপ্ন সব ধাবমান বল্গা হরিণ,এখন জিরোতে চায় কাকচক্ষু জলে
যেখানে সে বসে আছে জলেতে তাকিয়ে আর পা ডুবিয়ে তায়,
পা দুলছে অনর্গল;ভাবনার ঢেউ শুধু ছুটেযাচ্ছে হরদম তীরবরাবর।
চারদিকে দৃশ্যমান ধোঁয়ার কুণ্ডলী
ঢিবির ভিতর থেকে সিংহাসনে বসা
নতুন মাংসের তাল আকারবিহীন
নড়েচড়ে, খাবি খায় ,লহুর ভিতর
নিষিদ্ধ এখানে ভ্রূণ চিহ্নিতকরণ
তবু তাকে চেনা যায় ছাঁচের উপর
উচ্চাবচতার দাগে সবুজে ছোপানো
আগুন লুকিয়ে আছে আড়ালে ধোঁয়ার
আর সে ঘুঘুর দল অকস্মাৎ  জুটে যায়
কুরেকুরে ঢুকে যায় মাংসের ভিতর
মায়াবী আঁচল ফের স্নেহভরে তাকে
উষ্ণতা দিয়ে সব বুকে রেখে দেয়।









রবিবার, ২০ মার্চ, ২০১১

KABITAR JANYA কবিতার জন্য


যশোধরা রায় চৌধুরী

একটা কবিতাই এটা পারে

কেন্দ্রে ঢুকে বসে আছে । তারপর কুমন্ত্রণা করে।
এই অস্বাভাবিকতা ।হয়ে ওঠা ।এই নিষ্করুণ
নিস্তারহীনতা বর্ম ।অবলেপ, চর্মরোগে প্রকৃতির গুণ ।
চন্দনের গন্ধময় এই পুণ্য রতিঅভিষেক ।

তোমার ভেতরে পড়ল তার বীজ ।বীজ,বীর্য ? প্রেম,কাতরতা ?
তোমার ভেতর ফুঁড়ে একদিন উঠে এল গাছ

হালক শিকড়ে আর লাভাচিহ্ন পাতায় পাতায়





অনুপম মুখোপাধ্যায়

ভ্যাস
একটা লোহার গরাদ । প্রথমবারের জন্য
শক্ত হয়ে আসছে ।

এই উচ্চারণ কোনো সুররিয়াল নয় ।

জলরঙ ছেড়ে জলরঙে ফিরে আসা
অনেকের কাছেই একপুরনো অভ্যাস ।

লোহার গরাদ ।স্রেফ লোহার গরাদ ।মরচে সহ
বা মরচে ছাড়া ।

সিগারেট ছেড়ে । এবং সিগারেট ছেড়ে ।




প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়

পরিবর্তন
ঢলে পড়া রোদগুলো সারসার উঠনে দাঁড়িয়ে
শুকনো পাতার শব্দ যে ভাষা তৈরি করে,সে ভাষা মাটিতে
ভারী ভারী বুটের সংঘাত । সন্ত্রস্ত মেয়ের দেহে সন্ত্রাসের বৈধতা লাগানো ।
এ সমস্ত জমা হয় ।পুঁজি হয় আগত ভোরের !
যে রকম ভোর ওঠে রাতের ভেতর থেকে সৃষ্টিকাল থেকে,
সে রকমই ।কিন্তু হাসি গুলো?অন্য কিছু, নাকি ঐ একই রকম ?


ভয়ের ডানায় বসে রোদ ঘুরে যায়
জঙ্গলে জঙ্গলে শব্দ, চাপা আর্তনাদ
বাবলা-গরাণ-শাল-মহুয়া আড়াল
ঝোপ সরে যায় কারা কানাকানি করে
মেঘ লাগা অসহায় মুখ ফুটে ওঠে ।

একটু ভাতের গন্ধে দুলক্ষ গোলাপ
একটু ফ্যানের জন্য দুবালতি রক্তের
অধিকাংশ ঝরে যায়,আর সে অক্ষর
কাগজে লিখতে গিয়ে কাগজেরও চোখে জল…
তাঁদের সোচ্চার দাবী রাষ্ট্রদ্রোহীতা হলে
রাষ্ট্রদ্রোহী তবে আমি প্রণবকুমার

Pranabkumar Chattopadhyay

The change 1

Smearing the dropping sunlight the smile standing
                          On the courtyard in rows
The language made by the sound of dried leaves, that
Language is the collision of heavy boots.
In the body of the terrified girl there is legality attached with
All these being accumulated. All these are the capital
                            Of the ensuing dawn!
Just like the dawn emerges from into right
                             Since the time of creation.
But the smiles,laughters? Something else, or like the same?

2

Sunlight travels sitting on the wings of fear
Sounds in forests groaning in a low voice
Babla-Garan-Shaal-Mahua and the hidden
Bushes move and some people whispers
And appears helpless faces smeared with cloud.

Two lac roses for a little smell of boiled rice
Most of the bloodshed from two full tubs
And the pen’s eyes become full of
Tears when it tries to write down those letters…
If their strong demands counted as insurgence
Then, I , Sri Pranabkumar also an insurgent now.

                                  Translated by Ujjwal Singha