প্র ণ ব কু মা
র চ ট্টো পা ধ্যা য়
ঘুঘু
বিলম্বিত শীত এসে
বসেছে জাঁকিয়ে
উৎস থেকে আলো-ধারা উত্তুরে হাওয়ায়
কাঁপা কাঁপা
চলমান ছবি হয়ে গেল
কাগজ পুড়ছে কিছু
এখানে-ওখানে
ঘিরে থাকা কিছু
লোক উষ্ণতা পোহায়
ইঁট-কাঠ-বালি-লোহা-পাথর
জমানো
গড়ে উঠছে হরদম
বহু বহুতল
বিরল মাটির দেশে
হঠাৎ পুকুর
ডেকে উঠল ছলছলাৎ ,কিছু কোঁচবক
মুখ কালো করে ফের
জলে নেমে গেল
দেখা দিল
গাংচিল,হলুদ শালিখ
বেনেবউ,মাছরাঙা,বগারি,চড়ুই
ঘুঘু উড়ে এল তার
পতাকা নাড়িয়ে
কাঁপা কাঁপা
চলমান ছবি মুছে গেল
২
ধোঁয়া জেগে থাকে
শুধু , আলো মুছে গেলে
যা হওয়ার হয়;যা
ঘটার ঘটে, বিজয়ের ঘোর আর
কাটতে চায় না ,৩২
সিংহাসন ঢিবির ভিতর।
সে উঠে বসে ।আলো
পাল্টায় ট্রাফিক সিগন্যাল।
সবুজ গাছেরা যায়
।বাদামি মাছেরা যায় ।শুধু কালো
মানুষের
দল,পাথরের চোখে স্থির তাকিয়ে থেকেছে।
কখন যে জ্বর
আসবে,ঠকঠক কেঁপে উঠবে মা-জননী,
ওরা জানে ।শান্ত
জলের মধ্যে কখন যে জেগে উঠবে
হাহাহুহু, জানে
ওরা।কোথায় লুকিয়ে আছে মিঠে ধারা
এ জঙ্গলে;জানে
তাও।এরকম বহু, যা অজানা সবার;
ওরা জানে
,শুধু,নিজেদের মুখ ওরা বদলাতে পারে না।
৩
ন্যাংটো সে
মাংসপিণ্ড ঢাকাহীন পড়ে থাকে পথের উপর
বরফে বরফে ঢাকা সাদা
গাছ, সাদা বাড়ি, ও হ্রদের জল
বল্গা হরিণীর
কাঁধে জুতে দেওয়া স্বপ্ন-গাড়ি তুষারে ধবল
অলৌকিক মনে হওয়া
পথের সে মাংসপিণ্ডে দেখা দিল চোখ
দুরন্ত নীলের
মধ্যে আগুন রঙের এক উজ্জ্বল গোলক
আলটপকা ছুঁয়ে
দিয়ে দিগন্তে দাঁড়াল,সমস্ত রঙিন হল এক লহমায়।
৪
উত্তুরে হাওয়ার
সাথে দেখা গেল কিছু ঠোঁট চামচ আকার ।
কারো ঠোঁট সরু
সূঁচ ,কারো মোটা ,কারো রোগা, কারোর বাঁকানো
হ্রদের জলেতে সর
সাদা বরফের,তার মধ্যে সকলের আনন্দভুবন।
স্বপ্ন সব ধাবমান
বল্গা হরিণ,এখন জিরোতে চায় কাকচক্ষু জলে
যেখানে সে বসে
আছে জলেতে তাকিয়ে আর পা ডুবিয়ে তায়,
পা দুলছে
অনর্গল;ভাবনার ঢেউ শুধু ছুটেযাচ্ছে হরদম তীরবরাবর।
৫
চারদিকে দৃশ্যমান
ধোঁয়ার কুণ্ডলী
ঢিবির ভিতর থেকে
সিংহাসনে বসা
নতুন মাংসের তাল
আকারবিহীন
নড়েচড়ে, খাবি খায়
,লহুর ভিতর
নিষিদ্ধ এখানে
ভ্রূণ চিহ্নিতকরণ
তবু তাকে চেনা
যায় ছাঁচের উপর
উচ্চাবচতার দাগে
সবুজে ছোপানো
আগুন লুকিয়ে আছে
আড়ালে ধোঁয়ার
আর সে ঘুঘুর দল
অকস্মাৎ জুটে যায়
কুরেকুরে ঢুকে
যায় মাংসের ভিতর
মায়াবী আঁচল ফের
স্নেহভরে তাকে
উষ্ণতা দিয়ে সব
বুকে রেখে দেয়।